ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া মহাসড়কস্থ বাজারগুলোতে মানছেনা সরকারী নিষেধাজ্ঞা!

মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া :: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার বাজার সমূহে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে মানছে না নিষেধাজ্ঞা। মহাসড়কে যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে মালবাহী পরিবহন। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে বাজারগুলোতে অব্যাহত রয়েছে গণ জমায়েত।
সরেজমিনে উপজেলার খুটাখালী, ডুলাহাজারা, মালুমঘাট বাজারে দেখা গেছে জনসমাগমের এমনই চিত্র। এসব বাজারে সকাল দুপুর কিছুটা ফাঁকা থাকলেও বিকেলে জমজমাট অবস্থা। এসময় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা দোকানগুলো খোলা রাখার পাশাপাশি ব্যক্তিগত অফিসে চলছে হিসাবনিকাশ ও খোশগল্প।
ডুলাহাজারা বাজারে সোমবার সকালে চট্টগ্রাম অভিমুখী একটি ট্রাক ভর্তি যাত্রী বহন করতে দেখা গেছে। বিষয়টি সচেতন লোকজনের নজরে আসলে তারা দুষছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। এর আগেও কক্সবাজার রামু থেকে ছেড়ে আসা ট্রাক ভর্তি ব্রিকফিল্ড শ্রমিক বহনকারী (ঢাকা মেট্রো-ট ১৩-১০০০) নাম্বারের ট্রাক আটক করে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ। প্রায় অর্ধশত ব্রিকফিল্ড শ্রমিকদের ছেড়ে দিয়ে পরদিন গাড়িটি মালিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোর্শেদুল আলম চৌধুরী বলেন, মালবাহী গাড়ীতে যাত্রী বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। হাইওয়ে পুলিশ এসবের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তৎপর রয়েছে। এছাড়া আমাদের আওতাধীন বাজারে গণ-জমায়েত প্রতিরোধে আজ থানা পুলিশসহ যৌথভাবে অভিযান চালানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে জনসমাগম না করতে সরকারীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, প্রশাসন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালালেও সাধারণ লোকজন আমলে নিচ্ছে না। অথচ বিশ্বের উন্নত দেশ সমুহ এখন করোনা ভাইরাস আক্রান্তে জর্জরিত। এসব দেশে অব্যাহত রয়েছে মৃত্যুর মিছিল।
করোনার ছোবল থেকে রেহায় পাচ্ছে না বাংলাদেশও। এদেশে প্রতিদিন বাড়ছে করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা এবং উর্ধগতিতে রয়েছে মৃতের তালিকা। তারপরও সাধারণ লোকজনের বিষয়টি এখনো আয়ত্তে আসছে না। আমলে নিচ্ছে না গণ-জমায়েত ও জনসমাগম বিরোধক সরকারি নিষেধাজ্ঞা। ভয়াবহ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ বুঝে আসছে না তাদের। তা নাহলে এসব জনসমাগমে প্রশাসনিক অভিযানের পরও পূর্বের পরিস্থিতি হতো না!
এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরউদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক লিফলেট, জীবানু নাশক ঔষুধ ছিটানো এবং হোম কোয়ারান্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের কঠোর পর্যবেক্ষণে রাখতে নিয়মিত প্রচারণা চালানো হচ্ছে। হাটবাজারে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু মানুষকে কন্ট্রোল করা যাচ্ছেনা।

পাঠকের মতামত: